শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হাজিরা মেশিন ক্রয়ে অনিয়মের তদন্ত 

গাইবান্ধার জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় ২০১৯-২০ইং অর্থ বছরে ২১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মানা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সেখানকার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম মোকছেদ চৌধরীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ৭ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। 

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হাজিরা মেশিন ক্রয়ে অনিয়মের তদন্ত 

গাইবান্ধার জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৯-২০ইং অর্থ বছরে ২১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মানা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সেখানকার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম মোকছেদ চৌধরীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ৭ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য ও স্লিপ ফান্ডের অর্থ দিয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি দামে হাজিরা মেশিন ক্রয় করায় গত ৮ অক্টোবর-২০ তারিখে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম আ. ছালাম ও সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে  প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ এনে রেজুলেশন করা হয়।

অভিযোগ আমলে নিয়ে মন্ত্রণালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (অর্থ ও রাজস্ব) নুরুল ইসলাম সাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ এপ্রিল ২১ তারিখে গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সংশ্লিষ্ট সকলকে তথ্য প্রমাণসহ উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

আরো জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ের পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ‘স্পেসিফিকেশন’ অনুযায়ী বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাজার থেকে যাচাই করে সাশ্রয়ী মূল্যে যাবতীয় মেশিন ক্রয় করার কথা বলা থাকলেও তা হয় নাই। সেখানে অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম আ. ছালাম সেই নির্দেশ অমান্য করে উক্ত উপজেলার ২১৭টি বিদ্যালয়ে তার পছন্দ মতো ‘একটিভ পাওয়ার ৫৫ লিমিটেড’ নামের একটি নাম সর্বস্ব কোম্পানি থেকে মেশিন ক্রয় করতে বাধ্য করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত কোম্পানিটি ZK Teco iclock 9000-G মডেলের হাজিরা মেশিনটি ক্রয় করেন সেখানে রশিদ মুলে দাম দেখানো হয়েছে ২২ হাজার টাকা। অনলাইনে বিক্রয়কারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে যন্ত্রগুলোর বাজার দর ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। সেপ্টেম্বর ২০ তারিখে মেশিনগুলি কেনা হলেও তা করোনায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় স্থাপন করা হয় নাই।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এসব মেশিনের ক্রয়মূল্য ২২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলেও প্রকৃত বাজার দর জানা নেই। তাদের অভিযোগ, এক রকম বাধ্য হয়েই শিক্ষকরা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে এসব কিনেছেন। তবে, অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তার উপর মহলের আশির্বাদ থাকায় বাদীর সাথে রফাদফার মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম ধামা-চাপা দেয়ার জোর তৎবির অব্যাহত রয়েছে।

এসব ব্যাপারে জানতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘একটিভ পাওয়ার ৫৫ লিমিটেড’ এর রশিদে থাকা মোবাইল নম্বরে কয়েকদিন ধরে ফোন দেয়া হলেও নম্বারটি  বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম আ. ছালাম ও সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তারা কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয় নাই।